প্রকাশিত: Tue, Mar 26, 2024 12:08 PM
আপডেট: Mon, Apr 28, 2025 11:39 PM

[১]বিএনপির বিরোধিতার কারণে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাইনি: ওবায়দুল কাদের

এম এম লিংকন: [২] সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ২৫শে মার্চ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে হলে এই দালালদের প্রতিহত ও পরাজিত করতে হবে। পাকিস্তানের দালালে বাংলাদেশ ভরে গেছে।

[৩] ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বিএনপির ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই সমাবেশে ২৫ শে মার্চ গণহত্যা নিয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি। মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধের কথা নেই, বঙ্গবন্ধুর কথা নেই। এরা পাকিস্তানের দালাল।

 [৪] ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিশ্বাস করে না, তারা কখনো মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে না। এরা দালাল। এই দালালদের বিরোধিতার কারণেই ২৫ মার্চ গণহত্যার স্বীকৃতি এবং পাকিস্তান থেকে ক্ষতিপূরণ পাইনি।

[৫] মন্ত্রী বলেন,  এদেশে অবস্থান করা পাকিস্তানি নাগরিকরা দেশের বোঝা হয়ে আছে। পাকিস্তান কথা দিয়েও তাদের নাগরিকদের ফেরত নেয়নি। একাত্তরে গণহত্যার জন্য পাকিস্তান একটিবারও দুঃখ প্রকাশ করেনি। সেই পাকিস্তানের যারা দালালি করে তারা আমাদের স্বাধীনতার শত্রু। বিএনপি পাকিস্তানের দালালি করে এরা আমাদের শত্রু। এরা সপরিবারে বঙ্গবন্ধু সহ জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে।

[৬]  সোমবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ২৫  মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের কাছে জানতে চাই , তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় কোথায় ছিলেন? কোথায় প্রশিক্ষণ নিয়েছেন? 

[৭] ভারতীয় পণ্য ছাড়া খাবার জোটে না, ভারতীয়  পেঁয়াজ কার ঘরে নেই? এমন প্রশ্ন করে কাদের বলেন, ফখরুল সাহেব আপনিও রিজভীর মতো মাথা গরম করবেন না। বেশি কথা বললে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দেবো। 

[৮] ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্ষমতার দিবাস্বপ্ন দেখছে বিএনপি। ফখরুল সিঙ্গাপুর থেকে দেশে এসে দিবাস্বপ্নে বিভোর। বিদেশে আওয়ামী লীগের বন্ধু আছে, প্রভু নেই। বিএনপি'র প্রভু আছে। যারা তাদের স্বার্থের পক্ষে ওকালতি করে। আমাদের বন্ধুরা একাত্তরের পরীক্ষিত বন্ধু। বাংলাদেশের নির্বাচনে কোনও বিদেশি বন্ধু কোনও হস্তক্ষেপ করেনি। কিন্তু বিএনপির প্রভুরা যখন নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত করেছিল তখন আমাদের বন্ধুরা নির্বাচনের পক্ষে দৃঢ়ভাবে পাশে দাঁড়িয়েছিল। 

[৯] প্রত্যেকের ঘরে ঘরে ভারতীয় পণ্য দাবি করে সেতুমন্ত্রী বলেন, রান্নাঘর সবখানে। এখন রাজনীতি করার জন্য রিজভী গা থেকে কাশ্মীরি শাল ফেলে দিয়ে আগুনে পুড়িয়েছে। আরো কটি শাল রিজভীর ঘরে আছে কে জানে? বিএনপি নেতা মঈন খান, গণতন্ত্র উদ্ধারে ভারতের সহযোগিতা চান। আর রিজভী শাল ফেলে দেয়। নিজেদের মধ্যে মিল নেই। 

[১০] এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছাম মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম হাজার হাজার নেতা-কর্মীর উপস্থিতিতে বক্তব্য রাখেন।সম্পাদনা:সমর চক্রবর্তী